দৃশ্যকল্প-১ : চৌধুরী সাহেব সর্বদা নিজেকে নিয়ে গর্ববোধ করেন। তিনি মনে করেন, তার বংশের লোক ছাড়া অন্যান্য লোকেরা উন্নত চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের অধিকারী নন। তাদের আচার-ব্যবহার, চাল-চলন খুবই নিচুমানের। তিনি চান সবাই তার প্রশংসা করুক, সম্মান করুক। তিনি প্রায়ই অন্যদেরকে হেয় করেন।
দৃশ্যকল্প-২ : রবি, রাজা ও রানী একই পাড়ায় বসবাস করেন। দীর্ঘদিন একই পাড়ায় বসবাসের ফলে তাদের পরস্পরের মধ্যে এক ধরনের সখ্যতা গড়ে উঠেছে। পাড়ার লোকেরা বলে, “রবি, রাজা ও রানীকে পছন্দ করে কিন্তু রাজা, রবিকে পছন্দ করলেও রানীকে অপছন্দ করেন।”
হিমেল ও রক্তিম দুইজন প্রতিবেশী। হিমেল নিয়মিত স্কুলে যায়। শিক্ষকগণের নির্দেশ অনুযায়ী সে পড়াশুনা করে বলে শিক্ষকগণও তার খুব প্রশংসা করেন। অন্যদিকে রক্তিম পারিবারিক অসচ্ছলতার কারণে স্কুল কলেজের আনুষ্ঠানিক শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে নাই। তবে সমবয়সী দল, বিভিন্ন সামাজিক আচার-অনুষ্ঠান, হাটবাজার, খেলার মাঠ ইত্যাদি স্থানে তার সরব উপস্থিতি বিদ্যমান। যার ফলে জীবন যাপনের প্রয়োজনীয় জ্ঞান তার রপ্ত হয়েছে।
দৃশ্যকল্প-১ : রুবি ঢাকায় একটি বেসরকারি সংস্থায় উচ্চ বেতনে চাকরি করে। সম্প্রতি সে প্রত্যাশিত সরকারি চাকরি পেলেও কর্মস্থল বান্দরবানে হওয়ায় যোগদান করবে কিনা তা নিয়ে সংশয়ে আছে।
দৃশ্যকল্প-২ : বাদশা অনেক দিন আগে এসএসসি পাস করেছে। বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করছে। কিন্তু কোথাও চাকরি পাচ্ছে না। তাই সে চাকরির আশা ছেড়ে দিয়ে বলতে শুরু করলো মামা, খালু, ঘুষ ছাড়া চাকরি হবে না।
মি. জাকির একজন সফল ব্যবসায়ী। প্রচুর শিল্প প্রতিষ্ঠান ও বিত্ত বৈভবের মালিক তিনি। নৈতিকতার চেয়ে অর্থ উপার্জন তার জীবনের মূল লক্ষ্য। অন্যদিকে তাঁর বন্ধু রহমান সাহেবও একজন ব্যবসায়ী। তিনিও বিশ্বাস করেন জীবনের অর্থের প্রয়োজন আছে। তবে তিনি ধর্মীয় ও রাষ্ট্রীয় অনুশাসন কঠোরভাবে মেনে চলেন। এছাড়া তিনি একটি দৃষ্টিনন্দন মসজিদ নির্মাণ করেন যা দেখে সকলেই মুগ্ধ হন। তার মধ্যে অন্যের উপর প্রভাব বিস্তার ও প্রতিযোগিতা করার মানসিকতা বিদ্যমান ।
মনোবিজ্ঞানের শিক্ষক শ্রেণিকক্ষে শব্দের প্রভাব জানতে চান। এজন্য তিনি ২৫ জন বালক ও ২৫ জন বালিকা নিয়ে দু'টি দল গঠন করেন এবং তাদেরকে দু'টি পৃথক কক্ষের ব্যবস্থা করেন। একটি কক্ষে মাইক, মিছিল ও গাড়ির হর্ণসহ বিভিন্ন ধরনের শব্দ প্রবেশ করতো অন্যটিতে শব্দ নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা ছিল। ফলাফলে দেখা যায় নিয়ন্ত্রিত কক্ষের শিক্ষার্থীর শিক্ষণের পরিমাণ ভালো হয়েছে।পরিলক্ষিত হয় তা বিশ্লেষণ কর।
দৃশ্যকল্প-১: ইকবাল সাহেব কলেজের শিক্ষক। তিনি শ্রেণিতে লক্ষ্য করলেন যে, সোহান নামে একজন ছাত্র শ্রেণিতে খাপ খাওয়াতে পারছে না। ইকবাল সাহেব ছেলেটিকে মনোবিজ্ঞানীর কাছে পাঠালেন। মনোবিজ্ঞানী সোহানকে কতগুলো কার্ড দেখান এবং কার্ডে কী দেখতে পাচ্ছে তা বলতে বলেন। তিনি সোহানের উত্তরগুলো লিখে রাখেন এবং তার সমস্যা বুঝতে পারেন।
দৃশ্যকল্প-২ : পাভেল, রুবেল ও জুয়েল তিন ভাই। পাভেল দেখতে খাট, গোলগাল ও মিশুক প্রকৃতির। রুবেল লম্বা, হাল্কা-পাতলা গড়নের এবং নির্জনতাপ্রিয়। অন্যদিকে জুয়েল সুঠাম দেহের অধিকারী। সে খেলাধুলা পছন্দ করে এবং দুঃসাহসিক কাজ করে আনন্দ পায় ।
নাহিন নবম শ্রেণিতে পড়ে। সে বাবার সঙ্গে প্রতিদিন খবরের কাগজ পড়ে এবং টেলিভিশনে খবর শুনে। সম্প্রতি বাংলাদেশে অনুপ্রবেশাধীন রোহিঙ্গাদের দুঃখ-দুর্দশার খবর তাকে খুব কষ্ট দেয়। কীভাবে তাদের সাহায্য করা যায় এই নিয়ে চিন্তা করতে থাকে। নাহিনের মামা মতিন সাহেব যে কোনো বিষয় সম্পর্কে যথার্থ বিবেচনা ছাড়াই যুক্তিহীন, নেতিবাচক ও বিদ্বেষপূর্ণ মনোভাব পোষণ করেন। যেমন-তিনি মনে করেন দরিদ্রদের লেখাপড়া করার প্রয়োজন নেই। মতিন সাহেবের এ ধরনের মানসিকতা অনেকের কাছেই গ্রহণযোগ্য নয় ।
রহিম সাহেবের দুই সন্তান সজল ও রিপন। তৃতীয় শ্রেণিতে ২য় স্থান অধিকার করায় রহিম সাহেব সজলকে একটি খেলনা কিনে দেয়। এতে সজলের উৎসাহ বৃদ্ধি পায় এবং পরবর্তী পরীক্ষায় ১ম স্থান অধিকার করার জন্য পড়ালেখায় আরও মনোযোগী হয়। অন্যদিকে রিপন অনেক অলস ছিল, কোনো কিছু সময়মতো করতো না। পরবর্তীতে শিক্ষকের নির্দেশ ও উপদেশনার কারণে তার মধ্যে নিয়মানুবর্তিতা,আত্মনির্ভরশীল ও শৃঙ্খলাবোধ দেখা যায়। রহিম সাহেব সন্তানদের লেখাপড়া ছাড়াও অন্যান্য বিষয়, যেমন-খাওয়া, কাপড় পরা, মার্জিত আচরণ করা ইত্যাদির প্রতিও খেয়াল রাখেন। এতে করে তার মধ্যে সুস্থ সামাজিকতার বিকাশ ঘটে।
দিনমজুর করিম শেখের মেধাবী ছেলে সিফাত এবার মেডিক্যাল ও বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে দুটোতেই কৃতকার্য হয়। সে ভীষণ চিন্তিত কোনটাতে ভর্তি হবে। মেডিক্যাল না বুয়েটে। ছেলের সাফল্যে বাবা খুশী হলেও ভীষণ অস্থির ও চিন্তিত সিফাতের ভর্তি ও পড়াশুনার খরচ চালানো নিয়ে। অবশেষে ছেলের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে তার একমাত্র সম্বল দুধের গাভী বিক্রয় করার সিদ্ধান্ত নেয়। আর নিজেকে এই বলে সান্ত্বনা দেয় পড়াশুনা শেষ করে ছেলে সংসারের হাল ধরবে।
দৃশ্যকল্প-১ : অথই সপ্তম শ্রেণির মেধাবী ছাত্রী। তার বুদ্ধ্যঙ্ক কেমন হবে তা জানার আগ্রহে অথই-এর বাবা তাকে একজন মনোবিজ্ঞানীর কাছে নিয়ে যান। মনোবিজ্ঞানী ভাষাগত ৬টি মানকের মাধ্যমে তার বুদ্ধ্যঙ্ক নির্ণয় করলেন। ফলাফলে দেখলেন অথই এর বুদ্ধ্যঙ্ক স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি।
দৃশ্যকল্প-২ : আনিকা ও রাইয়ান দুইজন প্রতিবেশী। আনিকা সামান্য পড়তে ও লিখতে পারে, গান-বাজনা করতে পারে। শারীরিক বৈকল্যতা নেই। অন্যদিকে রাইয়ানের শারীরিক অক্ষমতা, কথা বলার জড়তা রয়েছে। তাদের বাবা-মা নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সন্তানের উন্নতির চেষ্টা করছেন।
জনাব আবু রায়হান একজন পরোপকারী ব্যক্তি। সমাজের 8 সকলের সুখে-দুঃখে তিনি ভূমিকা রাখেন। সমাজের মানুষের কল্যাণে সামাজিক শৃঙ্খলা রক্ষায় তিনি নিজ স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে কাজ করেন। আবু রায়হানের চাচাত ভাই আবু আয়মানও একজন সমাজের মানুষের সুখে-দুঃখে সামাজিক মানুষ। তিনিও পাশে থাকেন, মানুষের সেবা করতে চান কিন্তু তিনি মনে করেন মানুষের সেবা করার ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়া জরুরি। বয়সে ছোট হলেও তিনি অনেক সময় আবু রায়হান সাহেবের উপরও প্রভাব বিস্তার করে থাকেন। তবে, আবু আয়মান একজন সৌন্দর্যপ্রিয় ও শিল্পমনা ব্যক্তিও বটে। তিনি সবসময়ই পরিপাটি থাকেন এবং সন্তানদেরও সেভাবে রাখতে পছন্দ করেন।
জনাব মাহমুদুল হাছান শিশুদের আচরণের বিকাশ এবং শিক্ষণ কার্যক্রমের উপর গবেষণা করেন। তিনি লক্ষ্য করেন শিশুদের বলবর্ধক প্রদান করা হলে নির্দিষ্ট আচরণটি করার প্রবণতা বৃদ্ধি পায় এবং বলবর্ধকের অনুপস্থিতিতে উদ্দীপকের সাথে প্রতিক্রিয়ার সম্পর্ক দুর্বল করে তোলে। জনাব মাহমুদুল হাছান তাঁর গবেষণাকার্য নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে বস্তুনিষ্ঠভাবে পরিচালনা করেছেন।
রিফাত ও সিফাতের মা মরিয়ম তার দুই সন্তানকে নিয়ে চিন্তিত। তারা দুই জন দুই প্রকৃতির। বড় ছেলে রিফাত অনেকটা আত্মকেন্দ্রিক ও রক্ষণশীল। সে নতুন পরিবেশে সহজে অন্যের সাথে মিশতে পারে না। অপরদিকে ছোট ছেলে সিফাত খুবই সক্রিয় এবং স্বাধীনচেতা। সকল কাজেই সে অংশ নিতে চায়। অন্যের প্রয়োজনে সে জীবনের ঝুঁকি নিতে প্রস্তুত থাকে। সিফাতের অস্থিরতা, চঞ্চলতা, মেজাজী প্রকৃতির কারণে তার মা মরিয়ম প্রায়ই উদ্বিগ্ন থাকে ।
নিম্নবিত্ত এলাকায় বেড়ে ওঠা ওয়াসিম সামান্য হাসি ঠাট্টাতে রেগে যায়। সে তার মতামতকে ভুলের ঊর্ধ্বে বলে মনে করে। তার মতামতের বিরোধিতা করলে সেটাকে ভ্রান্ত ও শাস্তিযোগ্য বলে মনে করে। তার একগুঁয়েমির কারণে। অন্যের সাথে প্রায়ই বিবাদে লিপ্ত হতে দেখা যায়। ওয়াসিমের বাবা তাকে তিরস্কার করে বলেন, সমাজে নিজের মতামত প্রতিষ্ঠার জন্য কঠোরতা পরিহার করে বিকল্প পদ্ধতিতে অন্যের সমর্থন লাভ করা যায়।
জাহাঙ্গীর হোসেন নারায়ণগঞ্জের একটি পাটকলের কর্মচারী। প্রতি বছর তারা পাটকল থেকে পিকনিকে যায়। এ বছর তারা কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে রওনা হন। পথিমধ্যে সকাল ৭ টার দিকে গাড়িটি নষ্ট হয়ে যায়। ড্রাইভার বলেন গাড়ি মেরামত করতে ৮/১০ ঘণ্টা সময় প্রয়োজন। এ পরিস্থিতিতে সবাই অতিরিক্ত টাকা দিয়ে অন্য একটি গাড়ি ভাড়া করে গন্তব্যে যাওয়ার কথা ভাবতে থাকেন ।
মারুফ সহজ-সরল জীবনযাপন করে। সে সৃষ্টি জগতের রহস্য খুঁজে বেড়ায় এবং স্রষ্টার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশে নিয়োজিত থাকে। নিজের এবং অন্যের জন্য ক্ষতিকর কোনো কিছু করা থেকে বিরত থাকে। সমাজের লোকজন তাকে ভাল মানুষ হিসাবে শ্রদ্ধা করে। মারুফের বন্ধু রহিম অত্যন্ত হিসাবী লোক । প্রতিটি কাজের মধ্যে সে লাভ-ক্ষতি হিসাব করে। নিজের প্রয়োজনের বাইরে কোনো কাজে নিজেকে যুক্ত করে না। সমাজের লোকজন তাকে একজন স্বার্থপর ব্যক্তি হিসেবে গণ্য করে।
৮ বছর বয়সের ইমন তার ৪ বছরের ছোট ভাই ইলহামের সাথে খেলতে পছন্দ করে। স্কুলে সে তার বন্ধুদের সাথে মিশতে পারে না। অপরদিকে ইলহাম তার থেকে বয়সে বড়দের সাথে সহজে মেলামেশা ও খেলাধুলা করতে পারে। ইমন ও ইলহামের বাবা-মা তাদেরকে মনোবিজ্ঞানীর নিকট নিয়ে গেলে তিনি অভীক্ষা প্রয়োগ করে দেখতে পান ইমন ৬ বছর বয়সের অধিক বয়সের প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে না। ইলহাম ৫ বছর বয়সের সবকটি এবং ৬ বছর বয়সেও দুটি প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে। মনোবিজ্ঞানী ইমনকে স্বল্পবুদ্ধি ও ইলহামকে প্রতিভাবান বলে রিপোর্ট প্রদান করেন
জনাব জায়েদ একজন শিক্ষক। তিনি লক্ষ্য করলেন তার ছাত্র রিয়াজ খুবই অমনোযোগী এবং প্রায়ই ক্লাসে অনুপস্থিত থাকে। জনাব জায়েদ রিয়াজের মাকে একজন মনোবিজ্ঞানীর পরামর্শ নিতে বললেন। মনোবিজ্ঞানী ১ম পর্যায়ে রিয়াজকে বিভিন্ন রংয়ের কালি সম্বলিত কিছু কার্ড দেখান এবং কার্ডে কি দেখছে তা লিখতে বলেন। এ পর্যায়ে মনোবিজ্ঞানী রিয়াজকে ঠিকমতো বুঝতে না পেরে ২য় পর্যায়ে ভিন্ন কতগুলো অস্পষ্ট দ্ব্যর্থবোধক ছবি সম্বলিত কার্ড দেখান এবং কি দেখছে তার ভিত্তিতে গল্প লিখতে বলেন। এবার লিখিত গল্পগুলি ব্যাখ্যা করে মনোবিজ্ঞানী রিয়াজের সমস্যা বুঝতে পারেন ।
রিতা সত্য কথা বললে বাবা তাকে প্রস্তুত করে এবং মিথ্যা বললে তাকে শাসন করে। একসময় সে সত্যবাদী হয়ে উঠে। অপরদিকে রিতা এর বাবা তার দলের ব্যক্তিকে আগামী নির্বাচনে ভোট দেবার সিদ্ধান্ত নেয়। কয়েকদিন পর স্বতন্ত্রপ্রার্থী তার নিকট ভোট চাইতে আসলে রিতার বাবা তার সত্যতা ও আচরণে মুগ্ধ হয়ে পূর্বের সিদ্ধান্তের পরিবর্তন আনেন।
হামিদ মিয়ার সাথে সম্পত্তি নিয়ে রশিদ মিয়ার অনেকদিন যাবত বিবাদ চলছিল। এক পর্যায়ে বিবাদটি এমন পর্যায়ে পৌঁছাল যে ক্ষুব্ধ হামিদ মিয়া অপর পক্ষকে বললেন, “আমি এর শেষ দেখে ছাড়ব।” একথা শুনে রশিদ মিয়া চরম অপমান বোধ করেন এবং তার ভিতর রাগ ও ক্রোধের সৃষ্টি হয়। তাছাড়া হামিদ মিয়ার উক্তির সময় তার দেহভঙ্গি ও বাচনিক আচরণ ছিল উস্কানিমূলক ও আক্রমণাত্মক। তাই রশিদ মিয়াও ক্রোধে ঘোষণা করেন তিনিও সবকিছু দিয়ে এর মোকাবিলা করবেন।
ছেলেবেলা থেকে মিজানের স্বপ্ন সে প্রকৌশলী হবে। কিন্তু যথেষ্ট প্রস্তুতি থাকা সত্ত্বেও ভর্তি পরীক্ষায় সে কৃতকার্য হতে পারে না। এ অবস্থায় সে মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়ে। তার এ মানসিক অবস্থা বুঝতে পেরে তার বড় ভাই গঠনমূলক প্রতিক্রিয়া করার কথা বলে। এতে সে অনুপ্রাণিত হয়ে তার ব্যর্থতার কারণ মূল্যায়ন করে এবং যথাযথ পদ্ধতি নিয়ে সে পুনরায় পরীক্ষা দেয় এবং সফলতা অর্জন করে।
জনাব ইসমাইল একজন মনোবিজ্ঞানের শিক্ষক। তিনি ছাত্রদের শিক্ষণের উপর গণ্ডগোলের প্রভাব দেখার জন্য তার ক্লাসের ছাত্রদের জোড়-বিজোড় রোল নম্বর এর ভিত্তি সমান সংখ্যক ছাত্র দিয়ে “ক” এবং “খ” দল গঠন করেন। তিনি “ক” দলকে গণ্ডগোলযুক্ত পরিবেশে এবং ‘খ’ দলকে গণ্ডগোলমুক্ত পরিবেশে দুইটি ভিন্ন কক্ষে নির্দিষ্ট সময় পর্ব কতগুলো অর্থহীন শব্দ তালিকা মুখস্থ করতে দেন। পরীক্ষণ শুরুর পূর্বে গণ্ডগোলযুক্ত পরিবেশের শিক্ষণ গণ্ডগোল পরিবেশের শিক্ষণের তুলনায় কম হবে বলে মন্তব্য করেন। পরীক্ষণ শেষে ফলাফল ইসমাইল সাহেবের মতামতের সাথে মিলে যায়।
আন্তঃকলেজ মেধা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য ১৪ বছর বয়সী কলেজ ছাত্র সজীব ও ফুয়াদের মধ্য থেকে একজনকে নির্বাচনের জন্য মনোবিজ্ঞানের শিক্ষককে দায়িত্ব দেন। শিক্ষক তাদের উপর বুদ্ধি অভীক্ষা প্রয়োগ করেন। সজীবের বুদ্ধ্যঙ্ক ১০০ এবং ফুয়াদের মানসিক বয়স ১৫ বছর ২ মাস। সজীব বেশ চটপটে বলে শিক্ষক তাকে প্রতিযোগিতার জন্য মনোনীত করেন। সজীব প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে ৩য় স্থান অধিকার করে। কিন্তু ফুয়াদ মনে করে প্রতিযোগিতায় তাকে প্রেরণ করলে সে আরো ভালো ফলাফল করতে পারতো।
দৃশ্যকল্প-১:
বস্ত্র হতে আগত উদ্দীপনা এলোমেলো বা বিশৃঙ্খলভাবে আমাদের মস্তিষ্কে পৌঁছায়। মস্তিষ্ক সেগুলোকে সুশৃঙ্খল এবং একীকরণ করে বস্তুটি প্রত্যক্ষণের ব্যবস্থা করে থাকে। এটি প্রত্যক্ষণের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য।
দৃশ্যকল্প-২:
আমাদের প্রত্যক্ষণ ইন্দ্রিয় নির্ভর অন্য একটি মানসিক প্রক্রিয়ার উপর নির্ভরশীল। এই মানসিক প্রক্রিয়াটিকে প্রত্যক্ষণের আবশ্যিক পূর্বশর্ত বলা হয়।
হাফিজ ও হারিস দুই ভাই। হাফিজ শারীরিকভাবে সুস্থ তবে তার ভালো-মন্দ বিচার ক্ষমতা কম। সে সামান্য লিখতে ও পড়তে পারে। অন্যদিকে তার ভাই হারিস বরাবরই ক্লাসে প্রথম স্থান অধিকার করে। বন্ধুদের তুলনায় তার আবেগ নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা অনেক বেশি। বিজ্ঞান মেলায় বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী প্রযুক্তি উদ্ভাবন করে সে সবাইকে তাক লাগিয়ে দেয়।
সবুজ ও আসাদ সহপাঠী। অসচ্ছল পরিবারের সবুজ বহু চেষ্টা করেও কোনো চাকরি পাচ্ছে না। তাছাড়া তার কিছু শারীরিক সমস্যাও বিদ্যমান। অন্যদিকে, পড়ালেখা শেষে আসাদ একত্রে দু'টি চাকরির নিয়োগপত্র পায়। এর একটি তার নিজ জেলায় কিন্তু বেতন-ভাতা কম। অন্যটি দুর্গম এলাকায় তবে বেতন ও সুযোগ-সুবিধা বেশি। কিন্তু সে কোনটিতে যোগদান করবে তা নিয়ে বেশ চিন্তিত।